ধর্ষণের শিকার হয়ে মৃত্যু বরণ করা শিশু আছিয়ার জানাযায় অংশ নিতে সরকারি হেলিকপ্টার ব্যবহার করেছেন হাসনাত আব্দুল্লাহ, সারজিস আলম এবং মাওলানা মামুনুল হক। এই ঘটনায় জনমনে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে।
সরকারি হেলিকপ্টার ব্যবহার নিয়ে ইতোমধ্যে নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। জনসাধারণের অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন, কীভাবে এবং কোন অনুমতির ভিত্তিতে ব্যক্তিগত কাজে সরকারি সম্পদ ব্যবহার করা হলো। এই ঘটনার তদন্ত দাবি করেছেন অনেকে।
সামাজিক মাধ্যমে প্রতিক্রিয়া
ঘটনাটি সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপকভাবে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। অনেকেই এই ঘটনাকে “ক্ষমতার অপব্যবহার” বলে উল্লেখ করেছেন। একজন ব্যবহারকারী লিখেছেন,
“জনগণের করের টাকায় কেন ব্যক্তিগত কাজে হেলিকপ্টার ব্যবহৃত হবে? এর জবাব কে দেবে?”
অন্যদিকে, হাসনাত আব্দুল্লাহ, সারজিস আলম এবং মাওলানা মামুনুল হক এখনও এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো মন্তব্য দেননি।
উল্লেখ্য গত ৬ মার্চ মাগুরা শহরে বোনের বাড়ি বেড়াতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হয় ওই শিশুটি। পরদিন তাকে মাগুরা ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে ওই দিন দুপুরেই উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখান থেকে রাতেই পাঠানো হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।
এরপর গত শুক্রবার রাতে তাকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়। সংকটাপন্ন শিশুটিকে গত শনিবার সন্ধ্যায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পেডিয়াট্রিক ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট (পিআইসিইউ) থেকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। পরদিন রোববার শিশুটিকে সিএমএইচে পেডিয়াট্রিক আইসিইউতে নেওয়া হয়। আজ ১৩ মার্চ চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।